বিঃ দ্রঃ সে পূর্বেই আমার কাছে রোযা পালনের অনুমতি চেয়েছিল এবং আমি তাকে অনুমতি দিয়েছিলাম।
উত্তর :
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
এক:
যিনি কোন ওয়াজিব রোযা শুরু করেন (যেমন: রমজানের কাযা রোযা বা কসম ভঙ্গের কাফফারাস্বরূপ রোযা) তার জন্য কোন ওজর (শরিয়ত অনুমোদিত অজুহাত) ছাড়া রোযা ভঙ্গ করা জায়েয নয়। ওজরের উদাহরণ হচ্ছে- রোগ বা সফর।
যিনি কোন ওয়াজিব রোযা শুরু করেন (যেমন: রমজানের কাযা রোযা বা কসম ভঙ্গের কাফফারাস্বরূপ রোযা) তার জন্য কোন ওজর (শরিয়ত অনুমোদিত অজুহাত) ছাড়া রোযা ভঙ্গ করা জায়েয নয়। ওজরের উদাহরণ হচ্ছে- রোগ বা সফর।
যদি তিনি কোনো ওজরবশত অথবা ওজর ছাড়া রোযা ভঙ্গ করে থাকেন তবে সে রোযাটি পালন করা তার দায়িত্বে বাকি থেকে যাবে এবং যে দিনের রোযা বিনষ্ট করেছিলেন সেই দিনের পরিবর্তে অন্য একদিন তাকে রোযা পালন করে নিতে হবে।
যদি তিনি কোন ওজর ছাড়া রোযাটি ভঙ্গ করে থাকেন তবে এ রোযাটি পুনরায় পালন করার সাথে তাকে এই হারাম কাজ থেকে তওবা করতে হবে।
আপনার স্ত্রীর উপর কোন কাফফারা নেই। কারণ কাফফারা শুধু রমজান মাসে দিনের বেলা সহবাসের কারণে ওয়াজিব হয়। এর বিস্তারিত বিবরণ ইতিপূর্বে (49985) নং প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুই:
আপনি আপনার স্ত্রীর রোযা বিনষ্ট করে খুবই খারাপ কাজ করেছেন। কারণ কোন স্ত্রী যখন তার স্বামীর অনুমতি নিয়ে রমজানের কাযা রোযা পালন করে তখন স্বামীর তার রোযা বিনষ্ট করার কোন অধিকার নেই। তাই আপনাদের দু’জনের উচিত আল্লাহর কাছে তওবা করা। এ কাজের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। এ কাজ পুনরায় না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। আর যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাধ্য করে থাকেন তবে তার কোনো গুনাহ হবে না। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
আপনি আপনার স্ত্রীর রোযা বিনষ্ট করে খুবই খারাপ কাজ করেছেন। কারণ কোন স্ত্রী যখন তার স্বামীর অনুমতি নিয়ে রমজানের কাযা রোযা পালন করে তখন স্বামীর তার রোযা বিনষ্ট করার কোন অধিকার নেই। তাই আপনাদের দু’জনের উচিত আল্লাহর কাছে তওবা করা। এ কাজের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। এ কাজ পুনরায় না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। আর যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাধ্য করে থাকেন তবে তার কোনো গুনাহ হবে না। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।