আহলে হাদীস কারা?
শাইখ রাবী বিন হাদী উমাইর আল মাদখালী
—————————— ——-
অধুনা মুসলিম বিশ্বের একজন সফল শিক্ষক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা অনুষদের আস সুন্নাহ বিভাগের প্রধান ড. রাবী বিন হাদী উমাইর আল মাদখালী। তিনি তার প্রসিদ্ধ পুস্তিকা মাকানাতু আহলিল হাদীস-এ এ প্রশ্ন রাখছেন, আহলুল হাদীস কারা ? এবং পরপরই নিজে জবাব দিচ্ছেন, যার অর্থ হচ্ছে-‘আহলে হাদীস তারা:যারা আল কিতাব ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ এবং এ দুটির একনিষ্ঠ ও নিরবচ্ছিন্ন অনুসরণে এবং আকায়েদ ও ইবাদত, ব্যবহার বিধি ও চারিত্রিক আচার আচরণ, সমাজ ব্যবস্থা ও শাসনবিধি যাই হোক না কেন সকল ক্ষেত্রে সকল কথা ও সকল পথ নির্দেশের চাইতে আল-কুরআন ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহকে প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার দিয়ে সাহাবা ও তাবেঈনদের পথ ধরে চলে।
যারা আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি যা অবর্তীণ করেছেন এবং তাঁর প্রতি যেসব প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছেন দীনের সেই মৌল নীতি এবং তার শাখা প্রশাখায় দৃঢ়পদ ও সুপ্রতিষ্ঠিত, এবং যারা (মুক্তি ও সাফল্যের) এই পথে লোকদের আহ্বান জ্ঞাপনে সতত প্রস্তুত, সচেষ্ট ও সংকল্পবদ্ধ, যারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেখে যাওয়া ইলমের ধারক ও বাহক, যারা বাড়াবাড়ি কারী চরমপন্থিদের কুরআন ও হাদীসের ভাষা ও ভাবগত অর্থের পরিবর্তন প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় এবং বাহিল পন্থীদের নব নব সংযোজন ও জাহিলদের ভুল ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে।
আহলে হাদীস তো তারাই যারা সর্বকালে ও সর্ব দেশে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় সর্তক দৃষ্টি রাখে সেই সব ফিরকার প্রতি যারা ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছ যেমন জাহমিয়া, মুতাযিলা, খারেজী, রাফেযী, মুরজিঈ, কাদারী এবং প্রত্যেক সেই দল যারা আল্লাহর প্রদর্শিত পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে চলেছে আল্লাহর রাহে কর্তব্য পালনে কোন নিন্দুকের নিন্দা তাদেরকে প্রভাবিত করে না।
তারাই হচ্ছে সেই দল যাদের প্রশংসা এবং গুণকীর্তন করেছেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার এ অমর বাণীতে:
“আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি দলের অস্তিত্ব চিরকাল বিদ্যমান থাকবে যারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং যারাই তাদের বিরুদ্ধাচরণ বা তাদেরকে বিড়ম্বিত ও লাঞ্ছিত করতে তৎপর হোক না কেন প্রলয়কাল পর্যন্ত তাদের কোন অনিষ্টই করতে পারবে না।” (সহীহ মুসলিম ৩/১৫২৩)
তারাই তো সফলকাম মুক্তি প্রাপ্তদের দল যারা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেই মত ও পথের উপর যে মত ও পথের উপর কায়েম ছিলেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীবৃন্দ, যাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং চিহ্নিত করেছেন তাঁর এই বাণীর মাধ্যমে “এই উম্মত তিয়াত্তর ফিরকায় বিভক্তি হবে আর সাবই জাহান্নামে শুধু একটি মাত্র দল ব্যতিরেকে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোনটি সেই ভাগ্যবান দল? তিনি বললেন, সেই দল যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেই মত ও পথের যাতে আমি এবং আমার সাহাবা কায়েম রয়েছি।” (তিরমিযী, ৪/৪২০, ইবনে মাজাহ ১/৪-৫)
তারাই হচ্ছে সেই দল যাদের প্রশংসা এবং গুণকীর্তন করেছেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার এ অমর বাণীতে:
“আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি দলের অস্তিত্ব চিরকাল বিদ্যমান থাকবে যারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং যারাই তাদের বিরুদ্ধাচরণ বা তাদেরকে বিড়ম্বিত ও লাঞ্ছিত করতে তৎপর হোক না কেন প্রলয়কাল পর্যন্ত তাদের কোন অনিষ্টই করতে পারবে না।” (সহীহ মুসলিম ৩/১৫২৩)
তারাই তো সফলকাম মুক্তি প্রাপ্তদের দল যারা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেই মত ও পথের উপর যে মত ও পথের উপর কায়েম ছিলেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীবৃন্দ, যাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং চিহ্নিত করেছেন তাঁর এই বাণীর মাধ্যমে “এই উম্মত তিয়াত্তর ফিরকায় বিভক্তি হবে আর সাবই জাহান্নামে শুধু একটি মাত্র দল ব্যতিরেকে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোনটি সেই ভাগ্যবান দল? তিনি বললেন, সেই দল যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেই মত ও পথের যাতে আমি এবং আমার সাহাবা কায়েম রয়েছি।” (তিরমিযী, ৪/৪২০, ইবনে মাজাহ ১/৪-৫)
তিনি আরও বলেন, “আমি অতিরঞ্জিত কোন বক্তব্য উপস্থাপনা বা নিছক কোন দাবী পেশ করছি না। বরং আমরা তাই বলছি যা সত্য, যা বাস্তব। আল কুরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট ‘নাস’ এ দাবীর সত্যতার সাক্ষ্য দান করছে, ইতিহাস এর সাক্ষ্য বহন করছে আর এর সাক্ষী হচ্ছে হচ্ছে স্বয়ং তাদের (নিজেদের) উক্তি, জীবনধারা ও রচিত গ্রন্থাবলী।”
( উৎস: মাকানাতু আহলিল হাদীস, পৃষ্ঠা ৪, ৫ ও ৬, অভিভাষণ-প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুল বারী (রহ) ২২৪ ও ২২৫ পৃষ্ঠা)