নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে বন্ধুদের মাঝে আধুনিকভাবে উপস্থাপন করাকে, তাঁর সুন্দর চাহনিগুলোকে পাবলিক পিকচার বানানোকে যে স্বামী বাহাদুরি মনে করে – আল্লাহ্ তাঁর জন্য জান্নাত হারাম করেছেন ! হোক সে আপনার বউ, তারপরও তাকে পরপুরুষদের (গায়ের মাহরাম) মনোরঞ্জনের উপলক্ষ্য বানিয়ে তাঁর মর্যাদাকে ধুলিধূসরিত করার অধিকার আল্লাহ্ আপনাকে দেন নি। শুধু তাকে না, কোন নারীকেই বেপর্দা করার অধিকার মহান আল্লাহ্ কাউকে দেন নি।
স্বামীর জন্যই যদি হারাম হয়, তাহলে বেগানা নারীদের সাথে আপনার দাঁত কেলানো ফেসবুকীয় ছবি হালাল হয় ক্যামনে? আপলোড দেয়ার আগে একটু ভেবে নিন – কি ভয়ঙ্কর গুনাহ করছেন। আর যে নারী নিজেই নিজের পবিত্রতাকে শুলে চড়িয়ে ফেসবুকীয় কিছু সস্তা এপ্রিসিয়েশন এর লোভে শয়তানের ফাঁদে পা দিয়েছে, তাঁর পরিণতি তো বলাই বাহুল্য।
বাকি থাকলো – লাইক, কমেন্ট দেয়া আমজনতা। ইসলামে পর্দা কেবল নারীর জন্য না, পুরুষের জন্যও। নারী যেহেতু নিজেই নিজেকে উন্মুক্ত করেছে অতএব আপনার মজা নিতে বাঁধা নেই, এপ্রিশিয়েট করতে বাঁধা নেই – এই বেহুদা যুক্তি আপনার রবের সামনে কিন্তু সেদিন দিতে পারবেন না। আপনার প্রতিটি লাইক, প্রতিটা মনভরানো কমেন্ট – এর হিসাব আপনাকে দিতে হবে। আপনি এতে শুধু নিজের পর্দাই লঙ্ঘন করছেন না, বরং শয়তানের দোসর হিসেবেই কাজ করছেন।
”কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎ কর্ম করলে তাও সে দেখতে পাবে” (সুরা যিলযাল, ৭-৮) ”
লেখক: ফয়সাল বিন আলম (সহকারী অধ্যাপক, বিইউএফটি)।