Probondo

Kitab


প্রশ্ন : ইমাম খুতবা দিচ্ছেন এই অবস্থায় যদি কেউ মসজিদে আসে তবে ঐ ব্যক্তির জন্য দু’রাকআত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) সালাত আদায় করা কি জরুরি।


    পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
 গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) 
 অধ্যায়ঃ ৮/ সলাত (كتاب الصلاة) 
 হাদিস নম্বরঃ ৪৪৪ | 444 | ٤٤٤

পরিচ্ছদঃ ৮/৬০. তোমাদের কেউ মাসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাক‘আত সলাত আদায় করে নেয়।

৪৪৪. আবূ কাতাদাহ্ সালামী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে নেয়। (১১৬৩; মুসলিম ৬/১০, হাঃ ৭১৪, আহমাদ ১৫৭৮৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩১)

 পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
 গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] 
 অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুল জুমু’আ (জুমু’আর নামায) (كتاب الجمعة عن رسول الله ﷺ) 
 হাদিস নম্বরঃ ৫১১ | 511 | ۵۱۱

পরিচ্ছদঃ ১৫. ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় কোন ব্যাক্তি আসলে তার দুই রাক'আত নামায আদায় করা প্রসঙ্গে

৫১১। আবদুল্লাহ ইবনু আবু সারহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) জুমুআর দিন (মাসজিদে) ঢুকলেন। মারওয়ান তখন খুতবা দিচ্ছিল। তিনি নামায আদায় করতে দাড়ালেন। মারওয়ানের চৌকিদার তাকে বসিয়ে দেওয়ার (নামায হতে বিরত রাখার) জন্য আসল। কিন্তু তিনি তা মানলেন না এবং নামায আদায় করলেন। তিনি অবসর হলে আমরা তার নিকট আসলাম। আমরা বললাম, আল্লাহ তা'আলা আপনার উপর দয়া করুন, তারা আপনাকে পরাজিত করার জন্য এসেছিল। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এটা করতে দেখেছি। এরপর আমি এ দুই রাকাআত কখনও ছাড়তে পারি না। তারপর তিনি উল্লেখ করলেন, জুমু'আর দিন এক ব্যক্তি তাড়াহুড়া করে উস্ক খুস্ক অবস্থায় মাসজিদে আসল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন জুমু'আর খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি তাকে নির্দেশ দিলে সে দুই রাকাআত নামায আদায় করল। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিতে থাকলেন। —হাসান সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১১৩)।
আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসের এক রাবী ইবনু আবী উমার বলেন, ইবনু উআইনা মসজিদে এসে দুই রাকাআত নামায আদায় করতেন; ইমাম তখন খুতবা দিতে থাকতেন। তিনি এটা আদায় করার নির্দেশও দিতেন। আবু আবদুর রহমান আল-মাকবুরীও তাকে এরকম করতে দেখেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু আজলান একজন সিকাহ রাবী এবং হাদীসশাস্ত্রে তিনি নির্ভরযোগ্য ছিলেন। এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা, জাবির এবং সাহল ইবনু সা'দ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
একদল আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক একই রকম মত দিয়েছেন। অপর একদল বিদ্বান বলেছেন, ইমাম যখন খুতবা দিতে থাকেন তখন কোন লোক আসলে সে বসে যাবে এবং নামায আদায় করবে না। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ এই মত পালন করেন। কিন্তু প্রথম মতই বেশি সহীহ।
‘আলী ইবনু খালিদ আল-কুরাশী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি হাসান আল-বাসরীকে জুমুআর দিন মাসজিদে ঢুকতে দেখলাম, ইমাম তখন খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি দুই রাকাআত নামায আদায় করলেন, তারপর বসলেন। হাদীসের অনুসরণ করার জন্যই হাসান এরকমটি করলেন। তিনি এ সম্পর্কিত হাদীস জাবির (রাঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন।